শীতের কুয়াশামাখা সকালে চারপাশ যখন জেগে উঠেছে পাখির কিচিরমিচিরে, ঠিক তখনই বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের আঙিনা ভরে ওঠে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
নতুন বছরের শুরুতেই নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রাঙ্গণে এক আনন্দঘন দৃশ্যের দেখা মেলে। শিক্ষার্থীদের মুখে উচ্ছ্বাস, চোখে স্বপ্ন, আর হাতে নতুন পাঠ্যবই। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই বই বিতরণ যেন এক উৎসব।
বুধবার (১ জানুয়ারি) বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল ক্যাম্পাস-৬ (জলঢাকা, নীলফামারী) এর আয়োজনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।
বই বিতরণ আয়োজনে অতিথি ছিলেন জলঢাকা সরকারি কলেজের প্রভাষক তহিবুর রহমান সেলিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, কালের কণ্ঠের জলঢাকা উপজেলা প্রতিনিধি ও বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান স্ট্যালিন, বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষিকা আয়শা ছিদ্দিকা ও ইতিবানু।
জলঢাকা সরকারি কলেজ প্রভাষক তহিবুর রহমান সেলিন বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আজকের এই শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। বসুন্ধরা শুভসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা শুধু একটি বিদ্যালয়ের নয়, গোটা সমাজকে আলোকিত করবে। নতুন পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে অনুপ্রেরণা দেবে এবং তাদের জীবনের পথচলায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বইয়ের পাতায় পাতায় জ্ঞানের আলো যেন তাদের জীবনের প্রতিটি অন্ধকার সরিয়ে আলোকিত করবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান স্ট্যালিন বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এই বই বিতরণের মাধ্যমে আমরা সেই আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম। শিক্ষা জাতির উন্নতির মূল ভিত্তি, এবং আজকের এই দিনটি তা প্রমাণের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগ শুধুমাত্র আমাদের জলঢাকা এলাকার জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা