তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের আরাফাত হোসেন সিয়ামকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম বর্তমানে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বিচার চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মওলানা ভাসানী হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৪৫ তম আবর্তনের ১০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন মীর মশাররফ হোসেন হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সিয়াম সেখানে উপস্থিত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে দুটি হলের সিনিয়ররা ঘটনাটির মীমাংসা করে দেন। কিন্তু বুধবার দুপুরে সিয়াম তার বিভাগের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে হলে ফেরার সময় অতর্কিত হামলার শিকার হন। সিয়ামের বন্ধুরা জানান, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি চত্বরের পাশে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষমান ঢাকাগামী বাসের ভিতর থেকে রড ও বাঁশ হাতে বের হয়ে হঠাৎ সিয়ামকে মারধর শুরু করে।
লিখিত অভিযোগপত্রে যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হল- বঙ্গবন্ধু হলের সৈকত (সিএসসি), তৌহিদ (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা), রায়হান (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান), নাজমুল (দর্শন), মুরাদ (ইতিহাস), মওলানা ভাসানী হলের নাহিদ (আন্তর্জাতিক সর্ম্পক), মেহেদী (দর্শন), জাহিদ (ফিন্যান্স), বিকাশ (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান) ও রফিক-জবাবার হলের সাকিব (গণিত)। এদের মধ্যে শুধুমাত্র নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের তৌহিদ (৪৪ তম আবর্তন) ছাড়া সকলেই ৪৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। মারধরে অভিযুক্তরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা তাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, “এরা কেউই ছাত্রলীগ করে না, তাই মারমারিতে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই। বরং প্রয়োজনে দোষীদের চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করবে ছাত্রলীগ।”
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, “অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ