পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। শিক্ষার্থীদের চড় মারাসহ ইট দিয়েও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে বানেশ্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ক্যাম্পাসে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. সুমনুজ্জামান সুমন পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক-২ ভবনে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী মানিক আলী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। আরেক ভুক্তভোগী মো. রতন আলীও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা দু'জনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতোকত্তোর পর্বের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. রতন আলী বলেন, বানেশ্বর থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আসছিলেন রতন আর মানিক। বাসটি বেলপুকুর এলাকায় আসলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন উঠেন। উঠেই তিনি রতনকে বেড়ে গেছে বলে গালি দিয়ে বকাঝকা শুরু করেন। এসময় পাশে বসে থাকা মানিককেও চড় মারে সুমন। সুমনের সঙ্গে স্থানীয় দুই-একজন স্থানীয় ছেলে ছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসে মারামারির পর বাস থেকে নামলে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সুমন ইট হাতে মারতে উদ্ধত হলে সবাই তাকে আটকে ফেলে। পরে সুমনকেও কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীরা চড়-থাপ্পর দেয়।
মারধরের ঘটনা স্বীকার করে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত মো.সুমনুজ্জামান সুমন বলেন, ‘তেমন কিছুই না। এই সামান্য বিষয় যে এতোদূর গড়াবে, আমি ভাবিনি। একটা ভুল বুঝাবুঝিতে মানিককে ছোট ভাই হিসেবে চড় মেরেছিলাম।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুল হক খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে মো. সুমনুজ্জামান সুমনের নামে একটি ছিনতাইয়ের মামলা হয়। এই মামলার সাক্ষীদের একজন হলেন এই মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী মানিক।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ মে, ২০১৭/ওয়াসিফ