জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ‘বঙ্গবন্ধু-শিল্পকর্ম প্রদর্শনী-২০১৭’-র উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে চারুকলা অনুষদে জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এর উদ্বোধন করেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাগর হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ‘শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-২০১৭’-র পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে একটু বেশিই ভালবাসতেন। সেই ভালবাসার অপব্যবহার করেছে কুচক্রী মুস্তাকরা। আমাদেরকে জানতে হবে সেই সব ইতিহাস জানতে হবে। নইলে আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাব। আমাদের জানতে হবে ষড়যন্ত্রকারীরা এদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর চক্রান্তে লিপ্ত। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের মতো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে তুলনা করে। কিন্তু এদেশের মানুষ তা কখনো মেনে নিবে না। এসময় বাংলাদেশে যেন আর কখনও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে না যায় সেজন্য তিনি ছাত্রসমাজ তথা সকলকে জাগ্রত থাকার আহ্বান জানান।
সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদেরকে সত্যের পক্ষ নিতে হবে। যে সাংবাদিকতা পক্ষপাতের দোষে দুষ্ট নয় আপনাদের সেই সাংবাদিকতা করে সত্য প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যে ভুমিকা পালন করছেন তা আপনাদেরকে তুলে ধরতে হবে।
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি আমাদের মধ্যে নেই, এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। তার চেয়ে বড় বাস্তবতা হচ্ছে তিনি আমাদের সাথে আছেন। আমরা তাকে অনুভব করতে পারি। তার কর্মগুলো আমাদের সাথে আছে। তার দেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন পতাকা আমাদের সাথে আছে।
অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, মানুষের ভিতরে দুটি শক্তি রয়েছে। একটি হচ্ছে মানবিক শক্তি এবং অপরটি হচ্ছে পাশবিক শক্তি। মানুষের মানবিক শক্তি ফুটে ওঠে প্রদর্শনীর মাধ্যমে। তাই আমাদের নিজেদেরকে বিভিন্ন প্রদর্শনীর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন