রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নিয়মিতই অংশ নিচ্ছেন বহিষ্কৃত এক নেতা। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলেও সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজে তাকে দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বহিষ্কৃত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাব্বির হোসেন। তিনি মার্কেটিং বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। রাবি ছাত্রলীগের ২৫ তম পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে বান্ধবীসহ গ্রেফতার হওয়ায় গত ২২ জুলাই তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কৃত ওই নেতা এখনো ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করছেন ও ছাত্রলীগের সকল প্রকার কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের কর্মসূচিতেও দেখা যায় তাকে। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে এদিন ক্যম্পাসে প্রচার মিছিল কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলের তিন নম্বর সারিতে দেখা যায় সাব্বির হোসেনকে।
এদিকে ছাত্রলীগ সূত্র বলছে, রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বহিষ্কার হলেও দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেয়ার ঘটনা এটা নতুন নয়। বহিষ্কৃত থাকার পরও অনেকেই নতুন করে কমিটিতে পদ পান। এর আগে ছাত্রকর্মী রবিউল ইসলাম মিল্টন সাংবাদিক লাঞ্চনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ২০১৬ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারী বহিষ্কার হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের নতুন কমিটিকে তাকে সহ সভাপতির পদ দেয়া হয়েছে।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বহিষ্কারের পর সাব্বিরকে আমরা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ করেছি। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে সে উপস্থিত ছিল কিনা সে বিষয়ে আমি জানছি না। তবে উপস্থিত থেকে থাকলে তাকে আবারো নিষেধ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই রাজশাহীর মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সেজে প্রক্সি দিতে যান সাব্বির ও তার বান্ধবী। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আটক ও মোহনপুর থানায় সোপর্দ করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়। পরদিন ১৯ জুলাই তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে কিছুদিন পরেই জেলহাজত থেকে ছাড়া পান সাব্বির হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল