চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের দুই আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মূলফটকের বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আবাসিক শিক্ষার্থীরা। প্রভোষ্টকে অফিস কক্ষের ভিতরে রেখে রবিবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পযর্ন্ত তারা হলে তালা ঝুলিয়ে রাখে।
জানা যায়, বাংলা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন এ্যানিকে ছাত্রী সংস্থার কর্মী বলে হলের আবাসিক সিট বাতিল করেন হলের আবাসিক শিক্ষক রুনা সাহা। পরবর্তীতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রভোষ্টর সঙ্গে কথা বললে তার সিট পরিবর্তন করে অন্য কক্ষে দেওয়া হয়।
এদিকে ফারজানার মতো এমন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে আবাসিক সিট বাতিল করে দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার নিয়ে বারবার প্রভেষ্টের কাছে গেলে তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি। এসব ঘটনায় ক্ষোভে রবিবার রাত আটটার দিকে হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থী মিলে হলের মূলফটক সহ হলের প্রভোষ্টকে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের আবাসিক শিক্ষক রুনা সাহা ও জিয়াউর রহমান খান নিজেদের ইচ্ছেমতো হলের সিট পরিবর্তন ও তাদের পরিচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ম ছাড়াই সিট বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও হলের সিট পরিবর্তনের জন্য কোন শিক্ষার্থী আবেদন মঞ্জুর না করে তাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন।
এ বিষয়ে হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর ড. আবুল কাসেম বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি ও হলের আবাসিক শিক্ষকদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে হলের মূলফটকে তালা দিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, আমরা তাদের দাবি শুনেছি। তবে এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যা অনেক দিন থেকে চলে আসছিল। আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করবো।
বিডি প্রতিদিন/২ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল