এক মেস মালিকের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর সিট ভাড়া আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মার্চ মাসের সিটভাড়া দেয়া থাকলেও শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মেস থেকে বের করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ‘আদিল আলামিন’ মেসের মালিক। এসময় দুই শিক্ষার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।
ভুক্তভোগীদের একজন হলেন আরবী সাহিত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল গাফ্ফার ও অন্যজন নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া।
রাসেল ও গাফফারের অভিযোগ, তারা ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে মির্জাপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন আদিল আলামিন মেসে ছিলেন। যখন তারা মেসে প্রথম আসেন তখন জামানত হিসেবে ৭৫০ টাকা এবং চলতি মাসের ৭৫০ মিলে ১৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। মেসমালিকের সাথে চুক্তি ছিল-তারা যে মাসে চলে যাবে সে মাসের টাকা জামানতের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হবে। কিন্তু মার্চ মাসের ৫ তারিখে অসুস্থতার অজুহাতে ঘরভাড়া বাবদ মেস মালিক ৮০০ টাকা নেয়। কথা ছিল যাবার সময় সেই জামানতের টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। কিন্তু টাকা চাইতে গেলে টাকা দিতে অস্বীকার করেন মেসমালিক। মেসমালিক প্রথমে বলেছিল- একমাস মেসে থেকে টাকা পরিশোধ করে যেতে হবে। মেসমালিকের কথামত তারা এক মাস থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মার্চ মাসের ৩১ তারিখে মেস মালিক এসে তাদেরকে মেস ছেড়ে দিতে বলে। তারা জামানতের টাকার কথা বললে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে জোরপূর্বক মেস থেকে বের করে দেয়।
অভিযোগকারীদের দাবি, তারা মেসমালিকের কাছে জামানতের টাকা দেবার সময় তাদের নিজস্ব ডায়রিতে তারিখসহ নিজ হাতের স্বাক্ষর রয়েছে। সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করছে মেসমালিক।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেসমালিক বাদল মিয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো জামানত নেয়া হয়নি। প্রতি মাসের টাকা তাদের কাছ থেকে প্রতিমাস নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মেসমালিক সমিতির সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে হাসপাতাালে অবস্থান করছি। মেসমালিক সমিতির সভাপতি হওয়ার পর থেকে এ ধরনের সমস্যার অনেক সমাধান করেছি। আমি বাড়ি ফিরে এর সমাধানও করব।
বিডি প্রতিদিন/২ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা