রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়া মেধাবী ছাত্র হাফেজ সওদাগরের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান এহসান।
অভাব-অনটনের সংসারে পড়ালেখা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ২৩৭তম ও ‘ই’ ইউনিটে ৩০২তম স্থান অর্জন করেন হাফেজ সওদাগর। কিন্তু টাকার অভাবে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে তার দায়িত্ব নেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
মেধাবী ছাত্র হাফেজ সওদাগরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাফেজ সওদাগর এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতেই জিপিএ-৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু অভাবের কারণে খরচ চালাতে না পেরে তার অসুস্থ বাবা হরমুজ সরদার পড়ালেখা বন্ধ করেই দিতে চেয়েছিলেন। তবুও দমে যাননি হাফেজ। অন্যের বাড়িতে ছাত্র পড়িয়ে নিজেই এতদূর পর্যন্ত এসেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরগড়ায় এসেই যেন তীব্র অর্থাভাব তার পড়াশোনাকে থামিয়েই দিচ্ছিল। তবে তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এহসান মাহফুজের। তাই হাফেজকে ফোন করে তার ভর্তির দায়িত্ব নেন তিনি।
এ বিষয়ে হাফেজ সওদাগর বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে এতদূর এসেছি। রাবিতে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে মাহফুজ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানান আমার ভর্তির দায়িত্ব তিনি নেবেন। তার কাছে এই কথা শুনে এখন স্বপ্ন পূরণের ভরসা পাচ্ছি।
হাফিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায়িত্ব নেয়া ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান এহসান এর আগেও বিভিন্ন জনহিতকর কাজে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ, এক ভিক্ষুকের পুর্নবাসন, মেডিকেলে অধ্যয়নরত মেধাবী ছাত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষার্থী অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। আমি চাই দেশের কোথাও কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী যেন অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মত এত বড় সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই তাগিদ থেকেই যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাই। হাফেজ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে তবে সেটাতেই আমার তৃপ্তি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম