হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণিল জীবন চরিত নিবিড়ভাবে পাঠ, পঠন, চর্চা ও গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার (গবেষণা কেন্দ্র)’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
বেতন-ভাতাসহ নীতিমালায় থাকা কোন ধরণের সুযোগ-সুবিধা না নিয়েই এ চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার (গবেষণা কেন্দ্র)’ পদে দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চেীধুরী এটির উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যবর্গ, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ভাষা আন্দোলনসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রয়াসে বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু চেয়ার নীতিমালা কমিটি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুসারে ৫২০তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ বাস্তবায়ন কমিটি সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে চার বছরের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য, ভাষা আন্দোলন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রায় শতাধিক গবেষণা-প্রকাশনা রয়েছে। এ সকল গবেষণা-প্রকাশনার মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ’, (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মারকগ্রন্থ ২), ‘রাজনীতির মহাকবি মহাকালের মহানায়ক চিরঞ্জীব বাঙালির বঙ্গবন্ধু, (গ্রন্থ, শোকাশ্রæ ২০১৬), ‘কালজয়ী ৭ মার্চ ও স্বাধীন বাংলাদেশ, (গ্রন্থ, শোকাশ্রু ২০১৭), ‘বাঙালির বঙ্গবন্ধু-বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব, (গ্রন্থ, শোকাশ্রু ২০১৮), ।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রকাশনার মধ্যে ‘রাজনীতির কবি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, (দৈনিক জনকন্ঠ), ‘৭ মার্চ ও একটি বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ’ (দৈনিক জনকন্ঠে ২ পর্বে ছাপানো হয়), ‘বঙ্গবন্ধু, একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’, (দৈনিক সমকাল), ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি’, (দৈনিক জনকন্ঠ), ‘সংস্কৃতিক বিশ্বায়ন এবং মাতৃভাষার মর্যাদা প্রসঙ্গে’, (দৈনিক ইত্তেফাক), ‘শেখ হাসিনা উদার-অভ্যুদয়ের নেত্রী, জননন্দিত শেখ হাসিনাঃ প্রজ্ঞার অসাধারণ স্মারক, (গ্রন্থ ১৯৯৭)’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তি বিশ্বায়নের আলোকে’, (দৈনিক আজাদী ২০১০), ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন স্বাধীনতার রূপকল্প’, (দৈনিক আজাদী ২০০৯), ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিক গতি-প্রকৃতি’ (দৈনিক ইত্তেফাক ২০০৯)।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর