বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের (২১) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদ নামে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে তাদের আটক করা হয়। রাসেল বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুয়াদ সহ-সভাপতি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জনই বুয়েট শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ ছিল।
বুয়েটের ডা. মাসুক এলাহী জানান, রাত্রিকালীন ডিউটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে শেরে বাংলা হলে গিয়ে ফাহাদকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নিজে পরীক্ষা করে দেখেন, সে মারা গেছে। পরে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে তারা খবর পান শের-ই বাংলা হলের বাইরে নিচতলায় ছেলেটা পড়ে আছে। হল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে টনাস্থলে যান তারা।
আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আঘাত কোনো অস্ত্রের নয়। কোনো কিছু দিয়ে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কেন এত রাতে সে বাইরে গিয়েছিল, তা কেউ বলতে পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম