বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা করা হয়েছে। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরার ফাহাদের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ দেখতে পাওয়া গেছে।
আবরার ফাহাদের (২১) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদ নামে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে তাদের আটক করা হয়। আটক রাসেল ও ফুয়াদ বুয়েটের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বুয়েটে ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদে হল প্রভোস্ট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আবরার ফাহাদকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নং কক্ষ হত্যা করা হয়। কক্ষটি থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। পরে ফাহাদের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার লাশ হলের নিচ তলায় একটি তোশকের ওপর ফেলে রাখা হয়। হলের যে কক্ষে (২০১১) ফাহাদকে হত্যা করা হয় সেই কক্ষের ছাত্রদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ