আগের রাত থেকেই সিলেটে ঝরছিল বিরামহীন বৃষ্টি। শনিবারও থামেনি আকাশের কান্না। কিন্তু দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের উৎসাহে তবু ভাটা পড়েনি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসে জালিয়াতির চেষ্টাকালে ধরা পড়েছেন পাঁচ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, এবার শাবিতে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটে এক হাজার ৭০৩টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন ৭০ হাজার ৫৪৩ শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র ছিল ৪৩টি। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট এবং বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বিনাভাড়ায় সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ২০টি বাস এবং এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ ২টি বাস প্রদান করে। এছাড়া সিলেট বাইকিং কমিউনিটি ও বুস্টার্স নামের সংগঠন মিলে প্রায় অর্ধশত বাইক দিয়ে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে সাহায্য করে।
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালে সিমকার্ডযুক্ত ক্যালকুলেটর দিয়ে বাইরে থেকে উত্তর আদান-প্রদানের সময় ৪টি কেন্দ্র থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি বগুড়ায়, একজনের বাড়ি ময়মনসিংহে। শাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কেন্দ্র থেকে মাহমুদুল হাসান, মইনুদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে সাদ মোহাম্মদ সায়েল, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আহসান আলী ও ইব্রাহীম খলিল জীবন এবং সিলেট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোহাইমিনুল ইসলাম খান রিফাতকে আটক করা হয়। রিফাতের বাড়ি ময়মনসিংহে, বাকিরা বগুড়ার।
শাবির প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদ জানান, সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থা সিমকার্ড যুক্ত করে আটককৃতরা জালিয়াতি করার চেষ্টা করে। বাইরে থেকে এসএমএসের মাধ্যমে তারা প্রশ্ন ও উত্তর আদান-প্রদান করছিল।
শাবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, আটককৃতদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার