দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ভিসির অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে এবার শুক্রবারের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্সও বন্ধ করলেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল আটটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু থাকা সকল বিভাগ ও অনুষদে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান করেন।
আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে দিনের প্রথম দিকের ক্লাসগুলো নিতে না পেরে বাধ্য হয়ে শুক্রবারের সকল ক্লাস বাতিল করে বিভাগগুলো। ফলে আগত শিক্ষার্থীরা জুমার আগে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আন্দোলনকারীদের আমরা ক্লাস করার সুযোগ দিতে বললে তারা আমাদের অনুরোধ রাখেনি। ফলে আমরা শুক্রবারের ক্লাস বাতিল করি। তবে শনিবারের ক্লাস যেন বন্ধ না করা হয় সেজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন কুমার সাহা বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আমরা ক্লাস করার সুযোগ দিতে বললে তারা আমাদের অনুরোধ রাখেনি। ফলে আমরা শুক্রবারের ক্লাস বাতিল করি। তবে শনিবারের ক্লাস যেন বন্ধ না করা হয় সেজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।’
শুক্রবারের অবরোধের বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, কয়েক মাস যাবৎ ভিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। গত এক সপ্তাহ টানা ভিসি অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবন অবরোধ করায় স্থবির হয়ে পড়েছে জাবির শিক্ষাকার্যক্রম তবুও ভিসি তার অবস্থান থেকে সরছেন না। রাষ্ট্রপতির দফতর থেকেও কোনো জবাব আসছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই এ দুর্নীতির অপসারণ দেখতে চাই। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তাই কোনোভাবে বাণিজ্যিক কার্যকক্রম (সান্ধ্যকালীন কোর্স) চলতে পারে না। সেজন্য আমরা শুক্রবার উইকেন্ড ক্লাস প্রতিহত করেছি এবং শনিবারও প্রতিহত করা হবে।’
অবরোধকালে অধ্যাপক শামিমা সুলতানা, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটওয়ারি, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদসহ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাবিতে চলমান সাড়ে ১৪শ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ঈদ সেলামি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর থেকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত তিন মাস যাবত আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন