তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির প্রতি খেয়াল রাখে না। আমি অবাক হয়ে যাই, দেড় থেকে দুই বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন্সের পাশে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটেছে। বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দিয়েছে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এখানে আমার বহু স্মৃতি রয়েছে। আমার খুব শখ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু সময় হয়ে ওঠে না। এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এত গাছপালা ছিল না, পাহাড়কে ন্যাড়া মনে হতো। এখন সব সবুজ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশের নিচে। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশের বেশিতে। শহরে মানুষ বেড়েছে, দালান বেড়েছে। এরপরও বৃক্ষ বেড়েছে। এর কারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে। এ সময় তিনি চবির নবীন শিক্ষার্থীদের নামে ক্যাম্পাসে একটি করে গাছ লাগাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। শুভচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ মহিউদ্দীনসহ আরো অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ, শ্যামল, ছোট ছোট পাহাড় বেষ্টিত। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমরা একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছি, শিগগিরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন