কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর আজ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক দিক-নির্দেশনামূলক অনুষ্ঠান (ওরিয়েন্টেশন) সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা নবীনদের ক্যাম্পাস সম্পর্কিত সামগ্রিক ধারণা দেওয়ার পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ জঙ্গিবাদ, মাদক ও র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দুই পর্বের এ অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধ্যা ও গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেয় শেকৃবি রোভার স্কাউট গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরি এম সাইফুল ইসলাম সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে নবীনদের সম্যক ধারণা প্রদান করেন। রুদ্র মিত্র ও ওয়াহিদা তাসনিম নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ বছর ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষাথীদের ৫২ শতাংশ মেয়ে ও ৪৮ শতাংশ ছেলে।
রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘খ্যাতিমান কৃষি বিজ্ঞানী ও বরেণ্য কৃষিবিদদের এ প্রতিষ্ঠানে তোমাদেরকেও মেধা-মননের স্বাক্ষর রেখে সবক্ষেত্রেই দ্যুতি ছড়াতে হবে। তোমরা হলে দুধের সর আর তোমাদের শিক্ষকরা সেই সর থেকে তৈরি খাঁটি ঘি। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের জগতে তোমাদের স্বাধীন বিচরণে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আমরা তা প্রতিহত করবো।’
শেকৃবি উপ-উপাচার্য বলেন, ‘আজ থেকে এ ক্যাম্পাসকে শতভাগ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদক ও র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে অনুষদভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট অনুষদসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাসমূহ পরিদর্শনে নিয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন শেকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুদুর রহমান মিঠু ও মিজানুর রহমান (যথাক্রমে), প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. হাছানুজ্জামান আকন্দ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন ও ৪ অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম (কৃষি), অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ (পশুপালন ও চিকিৎসা), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (কৃষি ব্যবসা) ও অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব (মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান)।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার