১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:০৩

শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিশীল মন্তব্য করায় ইবি কর্মকর্তার শাস্তির দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিশীল মন্তব্য করায় ইবি কর্মকর্তার শাস্তির দাবি

আরিফুল হক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুরুচিশীল মন্তব্য করায় আরিফুল হক নামের এক কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার দুপুরে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নিকট স্বারকলিপি দেন তারা। একই সঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করায় গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের শাখা কর্মকর্তা ও সাবেক লিপিকৌশলী আরিফুল হক। এসময় শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্র সার্টিফিকেট তোলার সময় আবেদন লিখতে পারেনা। সে ছাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের নামে লিখে দেওয়া হোক’।

এ ঘটনার পর স্বারকলিপি প্রদান করে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মন্তব্যের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা। অন্যথায় তার বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলনে নামারও ঘোষণা দেন তারা।

এছাড়াও একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যায় শাখা ছাত্রমৈত্রী। এসময় তারা এ মন্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা আরিফুল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি ভুলবশত হয়ে গেছে। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরণের মন্তব্য খুবই গর্হিত। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

প্রসঙ্গত, ১৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। এ ১৬ দফা দাবির মধ্যে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি করা ও ক্যাম্পাসের দৈনিক কর্মঘণ্টা কমানো সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন সমালোচনা করেন সাধারণ শিক্ষর্থীরা।

 

বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর