খেলার উপযোগী মাঠ নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর। কলেজ দুই ভাগে বিভক্ত উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখা। নগরীর কান্দিরপাড়ে অবস্থিত উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। ধর্মপুরে ডিগ্রি শাখায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী। দুই শাখায় মাঠ থাকলেও সেগুলো খেলার উপযুক্ত নয়।
উচ্চমাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীদের একটি খেলার মাঠ রয়েছে। সেটি নিচু হয়ে গেছে। দুই পাশে ফুটবলের দুইটি গোল পোস্ট থাকলেও পাশে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। ডিগ্রি শাখার মাঠটি জলাবদ্ধ। কচুরিপানা আর কচুগাছ প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ভিক্টোরিয়া কলেজ। ১৯৬০ সালে মূল শাখা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ধর্মপুর এলাকায় ডিগ্রি ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়। উচ্চমাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীদের একটি খেলার মাঠ রয়েছে। তবে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ও ডিগ্রি অধ্যয়নরত ২২টি বিভাগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য খেলার মাঠ নেই।
কলেজের শিক্ষার্থী আশিক ইরান ও দেলোয়ার হোসেন অনিক বলেন, কলেজে খেলার মাঠ না থাকায় ঘরোয়া খেলাধুলা আর মোবাইল ফোন নিয়ে সময় অতিবাহিত করতে হয়। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ডিগ্রি শাখার খেলার মাঠের জন্য নির্ধারিত স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে মশার উপদ্রব দিনদিন বাড়ছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, কলেজের ক্রীড়া চর্চা ও অর্জনের গৌরবান্বিত ইতিহাস রয়েছে। একাদশের মাঠের সংস্কার প্রয়োজন। ডিগ্রি শাখার নির্ধারিত খেলার মাঠে দুই যুগের বেশী সময় ধরে জলাবদ্ধতা। এ মাঠটি মূল ভূমি থেকে নিচু, সারা বছর এ মাঠে পানি থাকে। খেলার মাঠটি সংস্কার হলে ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ক্রীড়া চর্চার সুযোগ পাবে।
কুমিল্লার বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ২৮ শিক্ষার্থীর খেলার মাঠ নেই তা দুঃখজনক। এক সময় ভিক্টোরিয়ার কলেজ ক্রিকেট টিমের সুনাম ছিলো। দুইটি মাঠ সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে তারা শারিরীক বিকাশের সুযোগ পাবে।
কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ২০১৯ সালের জুনে বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় যোগদানের পর খেলার মাঠে জলাবদ্ধতাকে অন্যতম সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেন। মাঠের পশ্চিম-উত্তরাংশ ভরাট করা হয়েছে। করোনার কারণে সে কাজটি থমকে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.রুহুল আমিন ভূইয়া বলেন, খেলার মাঠে জলাবদ্ধতার এ সমস্যাটি বহু বছর ধরে। গত বছর আংশিক ভরাট কাজ করেছি। প্রায় এক বছর কলেজ ফান্ডে নতুন অর্থ যোগ হচ্ছে না। ধর্মপুর এলাকায় অপরিকল্পিত বাড়ি ঘরের কারণে এ সমস্যাটি হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি স্থায়ী সমাধান হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল