শিক্ষিত তরুণদের কৃষিখাতের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান এসেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ((এসইউবি)) ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের এক ওয়েবিনার থেকে। এসইউবি-এর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি)-এর উদ্যোগে ‘শিক্ষিত তরুণের জন্য কৃষিখাতে উদ্যোক্তাবৃত্তি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। উপস্থাপিত বক্তব্যের উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর গণিত অলিম্পিয়াড কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও যুবউন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান ও স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসইউবির ব্যবসায় অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক ও সমন্বয়ক উম্মে নুসরাত উর্মি।
ওয়েবিনারে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশে কৃষিসাংবাদিকতার পথিকৃৎ শাইখ সিরাজ বলেন, গত পাঁচ দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশের কৃষিতে যে বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটেছে, তার পেছনে প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্টতার শিক্ষিত তরুণের উদ্যোগ ও অবদান অনেকখানি।
তিনি ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে চাকরির পেছনে হন্যে হয়ে না ঘুরে স্বীয় মেধা ও সামর্থকে ব্যবহার করে নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে আরও বলেন, চাকরি করার চেয়ে অন্যের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেয়া অনেক বেশি মর্যাদাপূর্ণ কাজ। আর সেটিকে মর্যাদাবান গণ্য করে শিক্ষিত তরুণদের এগিয়ে আসার কারণেই মাছ ও ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। ভূমির সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে চাষের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ অর্থাৎ ছাদকৃষির প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
উপস্থাপিত বক্তব্যের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে যুবসংগঠক মুনির হাসান বলেন, শিক্ষিত তরুণেরা এখন কৃষিতে আইসিটিসহ নানাবিধ প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে কৃষি উদ্যোক্তবৃত্তিকে একটি নতুন মাত্রা ও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে পশুপালন কিংবা হাসমুরগি বা মাছের খামার স্থাপন এখন শিক্ষিত তরুণের কাজ। এটি আর এখন শুধুমাত্র প্রচলিত ধারার কৃষিজ্ঞান দিয়ে করা সম্ভব নয়।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়াররুল কবির তার বক্তব্যে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কৃষির প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে যদি শিক্ষিত তরুণের অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে সে উদ্যোগ অবশ্যই সফল হতে বাধ্য। এ সূত্রে তিনি এও জানান, স্টেট ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের পেশা পরিকল্পনায় উদ্যোক্তাবৃত্তিকে অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণের বিষয়টিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করছে এবং সে অনুযায়ী তাদের জন্য নানাবিধ প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করছে।
ড. মো. শফিউর রহমান তার বক্তব্যে কৃষিতে দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার সব সফল দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও উদাহরণ তুলে এ বিষয়ে বাংলাদেশে বর্ধিত গবেষণার তাগিদ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক