রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সজীব হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় বহিষ্কার করেছে শেকৃবি ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের ফেসবুকে শেকৃবি ছাত্রলীগের এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হল ডাইনিংয়ে বহিষ্কৃত এ দুই নেতার চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ হলে শেকৃবি ছাত্রলীগ তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
জানা গেছে, এ দুই নেতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে ডাইনিং, ক্যান্টিন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে করা অনুসন্ধানে প্রমাণ মিললে ২৭ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শেকৃবির ডাইনিংয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’ শীর্ষক খবর প্রকাশ হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি গণমাধ্যম বহিষ্কৃত এ দুই নেতার চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ করে। খবর প্রকাশের পর ডাইনিং কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও তারা চাঁদা দেয় না- এই মর্মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় এ দুই নেতা। পরে বাংলাদেশ প্রতিদিন এ খবরও প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট নেতারা চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় হলটির প্রভোস্ট, যা বহিষ্কৃত দুই নেতা তাদের স্ব-স্ব ফেসবুকে পোস্ট করেন।
২৯ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘হল প্রভোস্টের প্রশ্রয়ে শেকৃবির চাঁদাবাজরা’ খবরে হল প্রভোস্ট বলেন, “তাদের পীড়াপীড়িতে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যেটা সত্য সেটা বের হয়ে গেছে।”
বৃহস্পতিবার শেকৃবি ছাত্রলীগ এই দুই নেতাকে বহিষ্কার করার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে ৩ আগস্ট তাদেরকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব তিন কার্যদিবসের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের দফতর সেলে জমা দিতে শোকজ নোটিশ দেয়।
এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত দুই নেতা, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম