একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে শনিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হচ্ছে গবেষণা-প্রকাশনা মেলা। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথমবারের মত আয়োজিত ব্যতিক্রমধর্মী এ মেলা রবিবার পর্যন্ত চলবে। বিশেষায়িত এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরা হবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মেলার সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় মেলার উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ মেলায় অনুষদসমূহের জন্য ১০টি, ইনস্টিটিউটসমূহের জন্য ১টি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্রসমূহের জন্য ১টি সহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া ১টি কেন্দ্রীয় মঞ্চ থাকবে। আশা করা যাচ্ছে মেলায় শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার বা ব্রুশিয়ার স্থান পাবে।
শুক্রবার সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, পুরো মাঠ জুড়ে প্যাভিলিয়ন ও স্টল স্থাপন করা হয়েছে। বিভাগগুলো মেলায় নিজেদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেদের স্টলকে বর্ণিলভাবে সাজাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গবেষণা মেলায় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ এবং সুইমিং পুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে প্রস্থান করতে হবে। কোন যানবাহন ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
মেলার প্রথম দিনে বিকেল ৩টায় কলা, বিজ্ঞান, আইন, বিজনেস স্টাডিজ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। ২৩ অক্টোবর সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান, ফার্মেসী, আর্থ এন্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। এছাড়া, সকল ইনস্টিটিউটের পক্ষে একটি এবং গবেষণা কেন্দ্র বা ব্যুরো’র পক্ষে একটি উপস্থাপনা থাকবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ-মানি প্রদান করা হবে। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার কর্তৃক উপস্থাপিত পোস্টার সমূহের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হবে।
গবেষণা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য গাড়ি পার্কিং, অভ্যর্থনা-তথ্য-অভিযোগ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, খাদ্য ও নিরাপদ পানীয় ব্যবস্থা, ওয়াশ রুম সুবিধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করবে। খন্দকার মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবন ও সায়েন্স এ্যানেক্স ভবন প্রাঙ্গণে গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল