২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২৪

সিট দখল হয়ে যাওয়ায় প্রশাসন ভবনে শুয়ে পড়লেন রাবি শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি

সিট দখল হয়ে যাওয়ায় প্রশাসন ভবনে শুয়ে পড়লেন রাবি শিক্ষার্থী

নিজের সিট দখল হওয়ায় প্রশাসন ভবনের গেটে শুয়ে পড়েন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলে নিজের সিট দখল হয়ে যাওয়ায় প্রশাসন ভবনের গেটে শুয়ে পড়েছেন এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে রাবিতে এই ঘটনা ঘটে। হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম তার সিট দখল করেছেন বলে অভিযোগ এই শিক্ষার্থীর।

ভুক্তভোগী জাকির হোসেন উর্দু বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৩৫ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

জাকির হোসেন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ২২ জানুয়ারি রাত ১০ টার দিকে ছাত্রলীগের হল সেক্রেটারি (সাধারণ সম্পাদক) মোমিন ও তার অনুসারীরা এসে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাকে কে এই রুমে তুলেছে?’ উত্তরে প্রাধ্যক্ষ স্যারের কথা বললে তিনি বলেন, ‘এটা আমার সিট, প্রাধ্যক্ষ তোলার কে?’ এরপর আমাকে ও প্রাধ্যক্ষ স্যারকে গালিগালাজ করেন। ২৯ জানুয়ারির পর কক্ষ ছেড়ে দিতে বলেন। কক্ষ না ছাড়লে মারধরের হুমকি দেন। ছাত্রলীগ নেতার কথামতো কক্ষ না ছাড়ায় মঙ্গলবার রুমে এসে আমার বিছানাপত্র ফেলে দিয়ে অন্য একজনকে তোলেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোমিন ইসলাম বলেন, তাকে বের করে দেওয়া বা অন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। হলে প্রাধ্যক্ষ স্যার বরাবরের মতো সিট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে রাতারাতি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে তুলে দেন। কিন্তু ওই রুমে একজন ছাত্রলীগকর্মী আবাসিক থাকার পরও অন্য একজনকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। হল প্রাধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা আর ছাত্রলীগের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের জন্য এ রকম হয়েছে। গালিগালাজের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

প্রশাসন ভবনে অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে রেস্ট্রিকশন (সীমাবদ্ধতা) আছে। তাই কথা বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, জাকিরকে ১৩৫ নম্বর কক্ষে সিট দেওয়া হয়। কিন্তু একটি সংগঠনের কিছু ছাত্র তাকে সেই সিট ছেড়ে দিতে বলে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে জাকির তার সিটেই থাকবে। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর