গোপালগঞ্জ জেলা শহরের নবীনবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকার মো.সবুর সিকদারের বাসায় রিক্তা খাতুন (২২) নামের ওই শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী স্বামীসহ প্রায় এক বছর ধরে সেখানে বসবাস করছিলেন। রিক্তা খাতুন বশেমুরবিপ্রবিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঝিনাইদাহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকি গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
ওই শিক্ষার্থীর স্বামী মো. রাসেল মন্ডল (২৬) একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে একই জেলার মহেশপুর উপজেলার ঘোষপুর গ্রামের মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
স্বামী মো. রাসেল মন্ডল জানিয়েছেন, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে পরিবারকে না জানিয়ে তারা একে অপরকে বিয়ে করেন। তারা নবীনবাগ এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।
তিনি বলেন, কয়েক দিন হলো অন্য একটি মেয়ে আমার মুঠোফোনে ম্যাসেজ ও ফোন দিয়ে বিরক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে স্ত্রী রিক্তার ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ওই মেয়ের মোবাইল নম্বর আমার স্ত্রীকে ও আমার কয়েকজন বন্ধুকে দেই মেয়েটিকে আইডেন্টিটিফাই করতে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে আর কোনো ঝামেলা ছিলো না।
তিনি আরো জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি কোচিং করানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ২ টার দিকে গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন তাদের রুমের দরজা খোলা। তখন রুমের ভিতরে ঢুকে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন তিনি তার স্ত্রীর ফাঁস খুলে নিচে নামান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাসেল আহমেদ বলেন, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক থাকার কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল