ছাত্রলীগের আন্দোলনের মুখে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ঈদের আগের সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১২ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে ছাত্রলীগের যবিপ্রবি শাখার নেতাকর্মীরা আন্দোলন শুরু করেন। এতে ওইদিন থেকেই যবিপ্রবির ২৬টি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনের তৃতীয় দিন সোমবার সকাল ৯টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেখানে গিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ১০ তলাবিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনে লিফট স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদের সাথে কথা হয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত দুটি লিফট স্থাপন করা হবে। লিফট ক্যাম্পাসেই রয়েছে। তাদের বিক্ষোভ শেষ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে ২৪ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।’
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘উপাচার্য ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নবনির্মিত স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনে লিফট স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নবনির্মিত স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে লিফট স্থাপন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির মামলায় অভিযুক্তদের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, সুষ্ঠু তদন্ত না করে কোনো শিক্ষার্থীকে শাস্তি বা বহিষ্কার না করা, বহিষ্কৃত সব শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা, সেমিস্টার ফি কমানো, বিভাগ উন্নয়নের নামে অবৈধ টাকা নেওয়া বন্ধ করা, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিকারীদের বহিষ্কার করা প্রভৃতি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই