ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে শুরু হতে যাচ্ছে ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব।
আগামী ২ অক্টোবর উদ্বোধনের পর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। উৎসবে বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় মোট ১৫টি বাংলা নাটক মঞ্চস্থ হবে।
রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন এবং সহকারী অধ্যাপক তানভীর নাহিদ খান।
নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।
উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নয়দিন ব্যাপী উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে মঞ্চায়িত হবে ইফতি শাহরিয়ার রাইয়ানের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালজয়ী নাটক ডাকঘর।
৩রা অক্টোবর রিফাত জাহান শাওনের নির্দেশনায় সেলিম আল দীনের নাটক ‘সংবাদ কার্টুন’ এবং রিফাত করবীর নির্দেশনায় আহমদ ছফার নাটক ‘মরণবিলাস’; ৪ অক্টোবর মুজাহিদুল ইসলাম রিফাতের নির্দেশনায় মনোজ মিত্রের নাটক ‘মহাবিদ্যা’ এবং রিজভী সুলতানার নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘চণ্ডালিকা’; ৫ই অক্টোবর তাহিয়া তাসনিমের নির্দেশনায় সৈয়দ শামসুল হকের নাটক ‘ঈর্ষা’ এবং মৌমিতা সরকারের রচনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘বৈদেহী’ মঞ্চস্থ হবে।
এছাড়াও ৬ অক্টোবর মিরহাজুল শিবলীর নির্দেশনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী নাটক ‘কমলাকান্তের জবানবন্দি’ এবং জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদের নির্দেশনায় আবদুল্লাহ আল মামুনের নাটক ‘কোকিলারা’; ৭ অক্টোবর তরিকুল সর্দারের নির্দেশনায় উৎপল দত্তের নাটক ‘মেঘ’ এবং সালমান নূরের নির্দেশনায় নূরুল মোমেনের নাটক ‘নেমেসিস’; ৮ অক্টোবর প্রাণ কৃষ্ণ বণিকের নির্দেশনায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক ‘সত্যান্মেষী’ এবং এস এ তানভীরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের নাটক ‘স্ত্রীর পত্র’ প্রদর্শিত হবে।
শেষ দিন ৯ অক্টোবর মঞ্চস্থ জবে দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর নির্দেশনায় বদরুজ্জামান আলমগীরের নাটক ‘অহরকণ্ডল’ ও জয়া কস্তার নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর নাটক ‘দণ্ডকারণ্য’।
উৎসবের বিষয়ে বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা বলেন, এবারের উৎসবের উল্লেখযোগ্য বিশেষ দিক হচ্ছে, তরুণরা বাংলা ভাষার প্রতিথযশা সাহিত্যিক রচিত পাণ্ডুলিপি নিয়ে নাটক নির্দশনা দিচ্ছে। এই নান্দনিক আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দের ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ আরো বেগবান হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল