গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় লাঠিসোটা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় অনেকে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হলের ১৫৮টি কক্ষ। যাতে ক্ষতি অন্তত চার কোটি টাকা।
প্রশাসনের তথ্য মতে, ১৭টি হলের মধ্যে ১০টি হলে ১৫৮টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল।
এদিকে, ঘটনার ১২ দিন পর হলগুলো পরিদর্শন করেন উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান জানান, হলগুলোতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ইতোপূর্বে হল প্রোভস্টারা সেটার তালিকা দিয়েছেন। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জানান, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, অর্থ বরাদ্দ পেলেই দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত হল বা কক্ষ মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার আবাসিক হল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটি প্রধান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এসএম এক্রাম উল্যাহ জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন হলকে তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানিয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এরপর আমরা তা সরাসরি পরিদর্শন করব।
তিনি আরও জানান, আশা করছি নিধার্রিত সময়ের আগেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মো. জামিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমরা পুরো বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি।
বিডি প্রতিদিন/একেএ