রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সকল হলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে পারবেন। তবে বহিরাগত কিংবা অনাবাসিক কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবে না।
মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
এই আহ্বায়ক বলেন, সেনাবাহিনী সাময়িকভাবে দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করছে। তারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। হল যেহেতু সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বন্ধ হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। তবে আবাসিক কোন শিক্ষার্থী হলে থাকতে চাইলে হল প্রশাসনের নির্দেশক্রমে অবস্থান করতে পারবে।
জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সরকারের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। সেদিনই গভীর রাতে সিন্ডিকেট সভা ডেকে হল ১৮ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে ওদিন কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ নিয়ে প্রশাসন ভবনে অবস্থান নেয় এবং প্রশাসনের কর্তাদের অবরোধ করে।
সন্ধ্যার দিকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বের করে হলগুলো সিলগালা করে প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কক্ষ ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ফলে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ছাত্রলীগ। অভিযোগ আছে, ছাত্রলীগ প্রভাব খাটিয়ে হলগুলোতে বহু কক্ষ নিজেদের দখলে রাখায় সিটে উঠতে পারত না আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, হলগুলোতে মেধা ও জ্যেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোন বৈষম্য করা হবে না। অনাবাসিক, একাডেমিক কার্যক্রম শেষ কিংবা প্রভাব খাটিয়ে দখল নেয়া কোন সিটে কেউ থাকতে পারবে না। খুব দ্রুতই কার্যক্রম শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত