ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার বিশাল মেলবন্ধন তৈরি করতে পেরেছি। নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র থেকে বুক পেতে রাস্তায় নেমে আসায় দেশে বড় পরিবর্তন এসেছে। এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রতিবাদ, মিছিল, সমাবেশ করে, দ্বিতীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রের আইন ও কথা অমান্য করে এবং তৃতীয় পর্যায়ে নাগরিকরা সশস্ত্র সংগ্রামে নেমে পড়ে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা প্রথম পর্যায়ের আন্দোলনে সফল হয়েছি।
রবিবার সন্ধ্যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রংপুরে স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, প্রকৃত অর্থে আমরা সৌভাগ্যবান যে অকুতোভয় ছাত্র-জনতা জেগে রাস্তায় নেমেছি। তাদের আত্মত্যাগে একটি পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা সুফল ভোগ করছি। তাদের প্রতি আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। তাই এখন পেছনে ফেরার সুযোগ নেই, সব বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা শহীদ পরিবারের জন্য এখন পর্যন্ত কিছু করতে পারি নাই। প্রত্যেকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী শহীদ পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, গণভ্যুত্থানের প্রাথমিক উদ্যোগ ছিল শিক্ষার্থীদের। তারা প্রাণ দিয়ে এ আন্দোলনের সূচনা করেছিল। সাফল্য এসেছে জনগণ যখন শিক্ষার্থীদের ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। বক্তব্য রাখেন স্মরণসভা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. ইলিয়াস প্রামানিক, শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, শহীদ আব্দুল্লাহ তাহিরের মা শিরিন বেগম, শহীদ সাজ্জাদের মা ময়না বেগম, শহীদ মোসলেম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা বেগম, শহীদ মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী নাজমীম ইসলামসহ অন্যরা।
স্মরণসভায় জুলাই-আগস্টে পুলিশ, আওয়ামী লীগের হামলা, মামলাসহ নানা নিপীড়ন তুলে ধরেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই