শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হামলাকারী ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল হাসানের বন্ধু সোহাগ মিয়া। আজ বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে এ জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ সিদ্দিকী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সোহাগের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহাগ। সোহাগ আদালতকে বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের ওয়াজ ও ইসলামিক ভিডিও মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ফয়জুরকে সরবরাহ করতে তিনি। ফয়জুর সেগুলো কপি করে নিজের কাছে রেখে মেমোরি কার্ড ফিরিয়ে দিতেন।’ তিনি জানান, জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত সোহাগ মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এদিকে, ফয়জুর নিজের বোনের বিয়ে সোহাগের সাথে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার পর সে তোড়জোড় ভেস্তে গেছে।
গত ৩ মার্চ শাবি ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের উপর হামলা চালায় ফয়জুর রহমান। এ ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে নগরীর জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন শাবি রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন। মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরা হলেন ফয়জুর রহমান, তার বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান, মামা ফজলুর রহমান ও ফয়জুরের বন্ধু সোহাগ মিয়া। তন্মধ্যে ফয়জুর, তার বাবা আতিকুর ও ভাই এনামুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার