প্রায় তিনদশক আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদন করা নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি এই জালিয়াতির ঘটনাটি ফাঁস হলে দলিল সম্পাদনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
নগরীর উত্তর কাজিটুলা অন্তরঙ্গ ২১/২ নম্বর বাসার মৃত মো. রকিব উদ্দিন আহমদের মেয়ে দিলরুবা আক্তার এ্যানি জানান, ১৯৮৬ সালের ২৪ নভেম্বর তার দাদা মৃত মো. রিয়াজ উল্লাহ মারা যান। নগরীর আম্বরখানায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একখন্ড ভূমি তার দাদার মালিকানাধীন ছিল। রিয়াজ উল্লাহ মারা যাওয়ার পর ত্যাজ্যবিত্তে উত্তরাধিকারী সূত্রে ওই জায়গার মালিক হন তিনি, তার মাতা আনজুমান আরা বেগম, ভাই এ কে এম নজমুদ্দিন রাজিব, বোন ফারহানা রকিব, রাবেয়া রকিব রুনি ও শাহরিয়া রকিব লিজা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই জায়গাটি কতিপয় ব্যক্তি দখল করে নিলে তারা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ২০০২ সালের ১৮ জুন তার মৃত দাদা মো. রিয়াজ উল্লাহকে জীবিত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি দলিল সম্পাদন করা হয়েছে।
জালিয়াতির এ ঘটনায় এ্যানি নগরীর কাজীটুলা উঁচাসড়ক এলাকার ১১৮নং বাসার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে প্রবাসী মো. আব্দুল মোমিন, মো. আব্দুল মুহিব, মো. আতিকুর রহমানসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া সম্পাদিত দলিলটি জাল দাবি করে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন এ্যানি। জায়গার মালিকের মৃত্যুর প্রায় তিনদশক পর তাকে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদনের ঘটনায় সিলেট সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এখন তোলপাড় চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
তবে জাল দলিল সম্পাদনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার বিবাদী কাজীটুলা উঁচাসড়কের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মিফতাউর রহমান। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই জায়গার দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। এ্যানির দায়েরকৃত মামলা পুলিশ তদন্ত করছে। কাগজপত্রে জায়গাটি আমাদের নয় প্রমাণিত হলে আমরা জায়গা ছেড়ে দেব।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন