১৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:০১

বিশ্বনাথে সড়কের পাশে অবৈধ পশুর হাট

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:

বিশ্বনাথে সড়কের পাশে অবৈধ পশুর হাট

কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পথে পথে পশুর হাট বসেছে। উপজেলা প্রশাসন ঘোষিত স্থায়ী-অস্থায়ী ১২টি হাটের বাইরের ব্যাপারীরা ইচ্ছে মতো অবৈধ হাট বসিয়েছেন। ছোট-বড় এসব হাটের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। এতে পশুর হাটের ইজারাদার ও বিক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা বিরাজ করছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব হাটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছেনা প্রশাসন।

শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ও অনেকের বাড়ির সম্মুখের পথে ২০ থেকে ২৫টি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বসেছেন ব্যাপারীরা। অনুমোদনহীন অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলা সদরের
পুরাতনবাজার সংলগ্ন মেইন রোডের পাশে মছতুরা সেন্টারের সামন এবং তার বিপরীতে, চান্দশীর কাপন মসজিদ গেইটের বিপরীতে, হাসিমের মোড়, বাইপাস সড়কের আনিকা সেন্টার সংলগ্ন ও সুড়িরকাল এলাকা, জাহারগাঁও মোড়, কারিকোনা
পল্লীবিদুৎ অফিসের দক্ষিণ পাশে, চৌধুরীগাও রাইস মেইল সংলগ্ন, মীরেরচর প্রাইমারী স্কুল এলাকা। এছাড়াও রামপাশা রোড, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর রোডের একাধিক এলাকায় রয়েছে অবৈধ পশুর হাট। ক্রেতারাও ছুটছেন এসব পশুর হাটে।

সরকারি রাজস্ব পরিশোধ ছাড়াই কিনে নিচ্ছেন তারা পছন্দের পশু। অবৈধ পশুর হাটের ক্রেতারা জানান, বড় হাটে গেলে নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। তাই নিরিবিলি ও কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এসব হাটে কোরবানির পশু পাচ্ছি আমরা। গুণতে হচ্ছেনা বাড়তি টাকাও। 

অবৈধ পশুর হাটের ব্যাপারীরা বলেন, আমরা হাট বাসাইনি। গুরু আছে জেনে ক্রেতারা আসেন, পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যান।

বিশ্বনাথ পুরাতন বাজারের স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার তালেব আলী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ পশুর হাটের কারণে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি আমরা। সরকার যেহেতু বৈধ পশুর হাটগুলো থেকে রাজস্ব পায়, সেহেতু অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে
তাদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে আমাদের ব্যবসায় ভাটা পড়বে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, আনুমোদন দেয়া ১২টি হাটের বাহিরে যারা অবৈধ হাট বসিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিডি প্রতিদিন/১৮ আগষ্ট ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর