সিলেটে পরাজয়ের পেছনে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক হয়েছে, কারা কী করেছেন, দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করেছেন। নৌকা ঠেকানোর নেতৃত্ব কে দিয়েছেন? এসব আত্মবিনাশী প্রতিযোগীতাকারীরা রেহাই পাবেন না। অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সব খতিয়ে দেখছি, দোষ প্রমাণ হলে রেহাই নাই। নৌকার বিরোধীতাকারী যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন, রক্ষা পাবেন না।
আজ বিকালে সিলেট মহানগরীরর রেজিস্ট্রি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, ইমরান আহমেদ এমপি প্রমুখ।
বিকাল তিনটায় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুম্মার নামাজ পড়েই নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে। পরে শতশত নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা শোনেন। বক্তারা প্রায় সবাই সিলেট সিটি নিবাচনের পরাজয়ে বিষয়ে কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, বাংলাদেশে আর ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না। সকাল ১০টায় ভোট শেষ, সেই নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না।
দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে কাদের বলেন, দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সব খবর আমরা রাখি। কানাডায় বসে, মধ্যপ্রাচ্যে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারা কোন দেশে কখন কি উদ্দেশ্যে, কি ষড়যন্ত্র করে সেই খবর আমরা রাখি, আমাদের কাছে সেই খবর আছে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের চোরাবালি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবো।
সভাপতির ভাষণে অশ্রুসিক্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আজকে এখানে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। দলও আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। কিন্তু পারিনি। আর মনোনয়ন চাই না। আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে চাই। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন কামরান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার