ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়ম ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ দেখাতে পারবে না বলেই ইভিএম চাচ্ছে না বিএনপি। তবে নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই অামরা ইভিএম সাপোর্ট করি।
আজ শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতেই অামরা ইভিএম চাই। ইভিএম হচ্ছে অাধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেটেও বিএনপি দুটি ইভিএম-এর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। অাসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই নানা অভিযোগ করছে।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া নোট অব ডিসেন্ট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'একজন নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনার সবার মতামত এক হবে এমন কোনো কথা নয়। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।'
২০০১ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে অার হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে অার অাসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এ কে এম এনামূল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম