সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আটক তিনজন হলেন, সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সরষপুরের মৃত আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ার আলী মালি (৪৮), সিলেট শহরতলির টুকেরবাজারের শেখপাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে এনামুল হাসান (২৬) ও জালালাবাদ থানাধীন খুররমখলার মৃত শেখ শফিকুল ইসলামের ছেলে শেখ সুমন আহমদ (২৮)।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, আটককৃতরা মাদক ব্যবসায়ী।
জৈন্তাপুর থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আটক
তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইয়াবাসহ আটককৃতদের মধ্যে এনামুল হাসান ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
গত বছরের ৩ মার্চ শাবিতে ‘ইইই ফেস্টিভ্যাল’ চলাকালে মঞ্চে জাফর ইকবালের ওপর হামলা করে ফয়জুল হাসান নামের এক যুবক। মাথার পেছন দিকে ও শরীরের কয়েক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফয়জুল হাসানকে প্রধান আসামি ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঘটনার পরই পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা হামলাকারী ফয়জুল হাসানাকে আটক করেন। পরে পুলিশ পৃথকভাবে ফয়জুলের বাবা, মা, ভাই, মামা ও বন্ধুকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া গেল বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই থানার কালিয়াকাপনের ফয়জুল হাসান, তার বন্ধু সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উমেদনগর গ্রামের সাদেকুর রহমানের ছেলে সোহাগ মিয়া, ফয়জুলের বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই এনামুল হাসান। ফয়জুলের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজারে বসবাস করছিল। ওই অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। পরে চলতি বছরের ২১ মার্চ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন