১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:১৪

খানাখন্দে ভরা মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়ক, চরম ভোগান্তি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

খানাখন্দে ভরা মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়ক, চরম ভোগান্তি

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ সড়কের

দীর্ঘ এক যুগ এর বেশি সময় ধরে মেরামত কাজ না হওয়া এবং গেল কয়েক বছরের বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ-কুলাউড়ার চাতলা পুর শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কি.মি সড়ক।

এই ৩৩ কি.মি সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলে খানাখন্দে পানি জমে ছোট ছোট গর্তের মধ্যে আটকে যায় যান। এতে দুর্ভোগে পোঁহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও যাত্রীদের দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলার আংশিক মানুষের জেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি ভাঙা থাকার কারণে বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। বিষেশ করে গর্ভবতী মহিলা ও হার্টের রোগীদের জন্য বেশি বিপদ জনক এই সড়কটি। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়কে প্রায় সংস্কার কাজ না করাই বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে। এদিকে রাজনগর উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের বিভিন্নস্থানে ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার শ্যামের কোনা এলাকার লিয়াকত আলী, জহির মিয়াসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তাটি খানাখন্দ অবস্তায় রয়েছে। আমরা অনেক সময় কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। অফিসে গেলে অফিসাররা বলেন কাজ হয়ে যাবে কিন্তু বছরের পর বছর চলে যায় কোনো কাজ হয় না। রাস্তাটির বেহাল অবস্থা থাকার কারণে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

সেলিম আহমদ বলেন, মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কে প্রতি দিনই এক-দুই ছোট খাট দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়কটি বেশি অংশ ভাঙা থাকার কারণে দ্বিগুণ ভাড়াও দিতে হয়।

সজল দেবনাথ বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে সড়কটিতে কোনো কাজ না হওয়াতে সড়কটিতে বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে।কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যত দ্রুত সম্বভ এই সড়কটি মেরামত করে দেয়ার জন্য।

সিএনজি চালক রিফাত, ডিপলুসহ একাধিক চালক বলেন, এই রাস্তায় চলাচলের কারণে আমাদের গাড়িতে প্রতিদিনই  কাজ করতে হয়। গাড়ি চালিয়ে বিকেল বেলা গাড়িতে কাজ করিয়ে যে টাকা থাকে তাতে আমাদের চলে না। পরে ধার-দেনা করে বাড়িতে বাজার নিতে য়া। রাস্তাটি ভাল থাকলে আমাদের গাড়িতে মেরামতের যে খরচ আসে তা আর হতো না।

মৌলভীবাজা সড়ক ও জনপথ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, খানাখন্দ সড়কগুলার সংস্কার কাজের দরপত্র হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে। তবে ৩৩.৫ কিলোমিটার এই সড়কের ২০ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে কাজ হবে। ব্যয় হবে ৪৩ কোটি টাকা। বাকিগুলা পর্যায়ক্রমে হয়ে যাবে।

 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর