হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শতাধিক দেশীয় অস্ত্র ও সংঘর্ষে ব্যবহৃত ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বর্তমান ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম এবং মতি মিয়া তালুকদারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তোফাজ্জল হক তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এদিকে বুধবার গ্রামের কয়েকজনের শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি রাতে মীমাংসা করে দেন ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে তোফাজ্জল তালুকদারের লোকজন হামলা চালিয়ে ইউপি মেম্বার জানে আলমকে আহত করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম ও সুজাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ দ্রুবেশ চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন কাজী আব্দাল মিয়া, কাজী আব্দুল্লাহ, কাজী বেনু মিয়া, কাজী কবির আনছারী, স্বপন মিয়া, আবুল খায়ের, সালমান মিয়া, তোফায়েল মিয়া, ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম, বাছির মিয়া, কাজী মাছুম, কাজী নোমান, কাজী মনির, শামীম মিয়া, কাজী জুয়েল, ফারুক মিয়া, ফখরুল মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, নোমান মিয়া, সালেক মিয়া, সোহেল মিয়া ও রাহাত মিয়া। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের ঢাকা ও সিলেট মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম জানান, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জল হক তালুকদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বিছানার নিচ থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে শতাধিক টেটা, ফিকলসহ দেশীয় অস্ত্র ও ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। এছাড়া ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক