সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা সলিট খান মুনের নেতৃত্বে নগরীর মহাজনপট্টিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ক্যাডারদের নিয়ে তিনি গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বদরুল ইসলাম বেলাল নামের এক ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা চালান। এসময় ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন তারা। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেলাল উপশহর এ ব্লকের বশির আহমদের ছেলে।
হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই সিলেট কোতোয়ালী থানায় সলিট খান মুনকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ভোর রাতে কাশেম নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহত বেলালের ভাই শফিউল আলম জুয়েল জানান, গত কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি মহাজনপট্টিতে তাদের একটি দোকান গুদামের জন্য ভাড়া নেওয়ার জন্য আলাপ আলোচনা করেন। আগামী মাস থেকে তিনি গুদাম ভাড়া নেওয়ার কথা। এর মধ্যে ওই ব্যক্তি গুদামে কিছু বোতলজাত কোমল পানীয় (স্প্রিড) এনে রাখেন। এর মধ্য থেকে এক কেইস পানীয় খোয়া যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সোমবার সলিট খান মুনসহ কয়েকজন এসে তার ভাই বদরুল ইসলাম বেলালকে হুমকি ধমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা সলিট খান মুন ও যুবলীগ নেতা রুপম, নজরুল ও জামালের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক গিয়ে মহাজনপট্টিতে বেলালের অফিসে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
হামলা প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা সলিট খান মুন বলেন, যুবলীগ নেতা নজরুল ব্যবসার জন্য বেলালের কাছ থেকে একটি গুদাম ভাড়া নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে গুদামের মালিক বেলাল ও তার লোকজন আটকে রাখার খবর পেয়ে যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। এরপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। তবে এসময় তিনি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া জানান, হামলার ঘটনায় থানায় ৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কাশেম নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা