সিলেটে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। ইতিমধ্যে প্রায় ২৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন সিলেট বিভাগে। আক্রান্ত এসব রোগীদের বেশির ভাগকেই বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ, তাদের রাখা হয়েছে হাসপাতালে।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ হাসপাতালে বর্তমানে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, করোনাভাইরাসের যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তবে করোনাক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা বুঝে কিছু ওষুধ সেবন করানো হয়।
এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, হিস্টাসিন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রভৃতি।
জানতে চাইলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নীতিমালা অনুসারেই করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করছি আমরা। রোগীর শারীরিক লক্ষণ দেখে জ্বর, সর্দি থাকলে প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন দিচ্ছি। জ্বর বেশি থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে এজিথ্রোমাইসিন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনও দেয়া হচ্ছে রোগীদের।
তিনি বলেন, রোগীর অন্য শারীরিক সমস্যা থাকলে সে অনুসারে ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি থাকলে এসব রোগের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। কাশি থাকলে সিরাপ সেবন করছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ, তাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেয়া হচ্ছে। আমরা মূলত স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা নীতিমালা অনুসরণ করছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত