করোনা সংকটেও থেমে নেই কৃষকের কাজ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড়-শিলা বৃষ্টি) ও চলমান সংকট কাটিয়ে ইতিমধ্যে বোরো ফসল কাটা শেষ করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষককূল। ফসল গোলায় তুলতে চলছে মাড়াই-ঝাড়াই। কৃষাণীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ধানের খড়-কুটো পরিস্কার ও শুকনোর কাজে।
অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে আউশ আবাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই বীজতলা প্রস্তুত শেষে বীজ বপণ ও চারা উৎপাদনে মনযোগ দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সবজি চাষও শুরু করেছেন কেউ কেউ।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলার ৭৬২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল বোরো ফসল। বাম্পার ফলনও ফসলের। শুরুতে করোনার প্রভাবে শ্রমিক সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় শঙ্কিত ছিলেন কৃষক। এ সংকট কাটিয়ে সম্প্রতি বোরো ধান কাটা শেষে আউশ আবাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন কৃষরা। বীজতলা তৈরী, বীজ বপণ ও চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় কাটছে উপজেলার কৃষকদের। এ বছর আউশ আবাদে ৯১৮৬ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। সেই সাথে নানা জাতের সবজিও চাষ করছেন অনেকেই।
কৃষকরা জানান, করোনার প্রভাবে এবার বোরো কর্তনে কিছুটা ধীর গতি হলেও আমরা আশানুরুপ ফসল তুলতে পেরেছি। সেই সাথে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত প্রণোদনায় আউশ আবাদ এখন আমাদের লক্ষ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বোরো কর্তন শেষ পর্যায়ে। সেই সাথে কৃষি প্রণোদনাসহ ৯১৮৬ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। অব্যাহত আছে সবজি চাষও। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না রাখা হয়’-সে অনুযায়ী মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছি আমরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল