‘গভীর রাতে করবো চুরি, মাঁখছি গায়ে তেল, বেজায় রকম পিছল্যা এখন, দেখবা মজার খেল। দুই হাতে ধরতে এলে, বাঈম মাছের মতো, পিছল্যা বাইর হইয়া যামু, ধরতে পারবা নাতো।’ এক সময় সিঁধেল চোরদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ছিলেন গ্রাম-গঞ্জের মানুষ। তারা সিঁধকাঠি দিয়ে মাটির দেওয়ালে গর্ত-সুড়ঙ্গ করে, বুদ্ধিমত্তা আর সাহস কাজে লাগিয়ে গোপনে প্রবেশ করে মালামাল নিয়ে যেত। তাদের নিয়েও আছে ব্যঙ্গাত্মক নানা ছন্দ-ছড়া।
সময়ের সাথে বিলুপ্তির খাতায় ওঠে সিঁধেল চুরি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অভিনব পন্থা বেছে নেয় চোরেরা। কিন্তু, সম্প্রতি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ফের নতুন করে পুরনো কায়দায় সিঁধেল চোরের উপদ্রব বেড়েছে। গত সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে একই রাতে ৩টি ঘরে হানা দেয় সিঁধেল চোর। সিঁধকাঠি দিয়ে তারা নিয়ে যায় নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, হাড়ি-পাতিল, কাপড় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
গ্রামের নিয়াজ আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা রাবিয়া বেগমের ঘর থেকে নেয় দুটি মোবাইল ফোন, হাড়ি-পাতিল, তৈল, পিঁয়াজ। মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এনামুল হকের ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট, নগদ ৭ হাজার টাকা, নতুন জামা-কাপড় ও মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আবদুর রহিমের ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট ও নগদ ১৬০ টাকা নিয়ে যায় সিঁধেল চোরেরা।
রাবিয়া বেগম জানান, রাত ১২ পর্যন্ত আমরা দুইবোন জেগে ছিলাম। পরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে জেগে দেখি ঘরের জিনিসপত্র অগোছালো ও রান্না ঘরের বেড়ায় বড় ছিদ্র করা। সিঁধেল চোরেরা আমাদের ঘর খালি করে সব নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনই পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল