সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক কন্যাশিশুকে ২০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার পর গতকাল শনিবার সন্ধায় ভিকটিমের মা জানান, সকালে তার শিশু কন্যাকে বসতঘরে রেখে শিশুর বাবাকে নিয়ে কয়লা কুড়াতে যাদুকাটা নদীতে চলে যান তিনি। নদীতে কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসেন।
বাড়িতে ফেরার পর শিশু জানায়, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজাই গ্রামের মৃত লোকমান মিয়ার ছেলে আবু কালাম ওরফে খেলু তাকে ঘরে একা পেয়ে ২০ টাকা হাতে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেছে। চলে যাওয়ার সময় বলে যায়, এ ঘটনা জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে।
উত্তর বড়দল ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য কপিল মিয়া জানান, এমন একটি ঘটনা শুনে তিনি ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। ঘটনা তার কাছে সত্য বলে মনে হয়েছে।
ভিকটিমের বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, পেটের দায়ে সারাদিন নদীতে কাজে ছিলাম। সন্ধ্যার সময় বাড়িতে এসে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। বিষয়টি গ্রামের মরব্বিদের জানানোর পর এক পক্ষ বলেছে, টাকা পয়সা দিয়ে সালিশের মাধ্যমে শেষ করতে। আরেক পক্ষ বলেছে, ঘটনাটি পুলিশকে জানাতে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য থানায় আমার মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা-মা রাতে শিশুকে নিয়ে থানায় আসেন। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ