৪ জুলাই, ২০২২ ১৯:২৩

সিলেটে ধীর গতিতে নামছে বন্যার পানি, মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিলেটে ধীর গতিতে নামছে বন্যার পানি, মানুষের দুর্ভোগ

ফাইল ছবি

গত তিন দিন সিলেটের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রোজ্জ্বল। দীর্ঘ বন্যার পর এখন কাঠফাটা রোদ আর তাপপ্রবাহে পুড়ছে সিলেট। তবুও ধীরগতিতে নামছে পানি। যে কারণে সিলেটের বেশ কয়েক জায়গা এখনও জলাবদ্ধ। হাঁটুজল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন মানুষ। যে কারণে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। সেইসাথে বন্যায় বিভিন্নস্থানে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। 

এমন ভোগান্তি দেখা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি এলাকায়। কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমরসমান পানি। এসব এলাকার দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপর্যস্ত ব্যবসায়ীরা। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। 
১৯ দিন পর সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হলেও দক্ষিণ সুরমাসহ কয়েকটি এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়ে গেছে। ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকলেও অল্প সময়ের বৃষ্টিতে ফের এসব জায়গায় পানি বৃদ্ধি পায়। 

সোমবার দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণেও পানি দেখা গেছে। বঙ্গবীর সড়ক ও চন্ডীপুল মোড়ে জ্বালানি তেলের দুটি পাম্প পানিতে তলিয়ে থাকায় তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল। এদিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণেও প্রায় হাঁটু পর্যন্ত পানি দেখা গেছে। এতে রেলস্টেশনে নামার পর গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী মালপত্র নিয়ে ময়লা পানি মাড়িয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। একইভাবে জলাবদ্ধতার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে নগরীর উপশহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চলে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি না কমায় এলাকার পানি নামছে না। একইসাথে এই এলাকার খাল, ছড়া ও বক্স কালভার্টে ময়লা-আবর্জনা জমে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হওয়ায় পানি নামছে খুব ধীরে। 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জানিয়েছে, সিলেটের নদ-নদীর পানি সুনামগঞ্জ দিয়ে নামে। সুনামগঞ্জে পানি বেশি থাকায় পানি নামতে সময় লাগছে।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় রাস্তাঘাটে জমে থাকা ময়লা পানি ও আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বন্যায় ভেঙে যাওয়া ক্ষত-বিক্ষত রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

সিলেটের এদিকে কিছু দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও ঘরে পানি থাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বানভাসি এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে বাস করছেন।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর