সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চে মামলার বাদী এই রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম লিটন।
ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ূম গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার বিচারকাজ বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। বিচারিক আদালত পরিবর্তন করে মামলার দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে করা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় চলতি বছরের মে মাসে। তবে এখন পর্যন্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার অনুমতি চেয়ে মামলার বাদী ওই গৃহবধূর স্বামী এ রিট করেছেন। এর আগেও ২০২১ সালের গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পরিবর্তন চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল। এখন আবারও একই আবেদন করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছরের ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে উল্লোখিত আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। তাদের সবাই বর্তমানে কারান্তরিণ আছেন। এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দু’টি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন