সিলেট নগরী ও জেলার প্রতিটি উপজেলা, এমনকি গ্রামেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে যুবদল নেতাকর্মীরা। যুবদলের এমন কর্মকান্ড সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। তবে কেউ অতি উৎসাহী হয়ে কোন ধরণের বিশৃঙ্খল আচরণ করলে তাৎক্ষণিক তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সোমবার সিলেট নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে জেলা ও মহানগর যুবদল নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এমন কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতৃবৃন্দরা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষুদ্ধ জনতা ও ষড়যন্ত্রকারী মহলের ইন্ধনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে। তবে পূণ্যভূমি সিলেটের কোথাও এ ধরনের ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোন খবর পাওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সাথে যুবদল কিংবা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ততা নেই।
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, আন্দোলনে সিলেট জেলা যুবদলের অন্তত ৭০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধশত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিচার ও আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসার দাবি জানান। যুবদল নেতৃবৃন্দ বিএনপির সাবেক কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, তার গাড়ির ড্রাইভার আনসার আলী এবং ছাত্রদলনেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদসহ গুম হওয়া সকল নেতাকর্মীর সন্ধান দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাট প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম