সিলেটে চোরাই পণ্যসহ আটক যুবদল নেতা ফয়জুল ইসলামকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ফয়জুলের বিরুদ্ধে সিলেট শাহপরাণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় ফয়জুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ফয়জুল জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি জৈন্তাপুরের হেমু নয়াগ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে শাহপরাণ থানাপুলিশের একটি টহল দল সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সুরমা গেট থেকে শাহপরাণ মাজার গেটের দিকে যাচ্ছিল। মাজার গেটের সামনে পুলিশের গাড়ি দেখে জৈন্তাপুরের দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মাজার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয় প্রাইভেটকারটি। পরক্ষণে প্রাইভেটকারের চালক দ্রুত পালিয়ে যান। তবে প্রাইভেটকারে থাকা যুবদল নেতা ফয়জুল ইসলামকে ভারতীয় অবৈধ প্রসাধনীসহ আটক করেন স্থানীয় লোকজন।
পরে পুলিশ এসে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে অবৈধভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা ৪ হাজার ৩০০টি প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ সময় জব্দ করা হয় প্রাইভেটকারটিও। পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় প্রাইভেটকার চালককেও আসামি করা হয়েছে।
শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, আদালতের নির্দেশে ফয়জুলকে রবিবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। অন্যদিকে পলাতক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ