সিলেটে চা দিতে দেরি হওয়ার জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারী খুন হয়েছেন। বাবা ও দুই ছেলে মিলে এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে। তবে দুই ছেলে এখনো পলাতক রয়েছে।
রবিবার সকালে নগরীর কাজিরবাজার মাছবাজারের পার্শ্ববর্তী নিরু বাবুর রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেস্টুরেন্ট কর্মচারী দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের মৃত তখলিছ মিয়ার ছেলে মো. দিনার আহমদ রুমন (২২)।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে জব্বার মিয়ার রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে যান কাজিরবাজার তোপখানা এলাকার আব্বাস মিয়া। নাস্তার এক পর্যায়ে চায়ের অর্ডার দেন তিনি। চা দিতে দেরি হওয়ায় রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রুমনের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া মোবাইল ফোনে তার ছেলেদের খবর দেন। বাবার ফোন পেয়ে আব্বাস মিয়ার বড়ছেলে খোকন ও ছোট খেলে রুহান রেস্টুরেন্টে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারাও চড়াও হন রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রুমনের উপর। এসময় খোকন লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং রুহান ছুরিকাঘাত করে। রুমনের বুকে চারটি ছুরিকাঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্বাস মিয়াকে গ্রেফতার করে। তবে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া আব্বাস মিয়ার দুই ছেলে এখনো পলাতক রয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, রুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম