চট্টগ্রামে নয় বছর আগে এক নারীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন নামে একজন আসামিকে দুইবার যাবজ্জীবন এবং জহিরুল হক নামে আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোতাহের আলী এ দেন। দণ্ডিত রফিকুল নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকার আজিম হাওলাদারের ছেলে। জহিরুল নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার শফি আলমের ছেলে। দুই আসামিই জামিনে গিয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ নাসের বলেন, ‘রফিকুলকে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ও ৯ (১) ধারায় দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ ৩০ বছর। সেই হিসেবে আসামির ৬০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আরেক আসামি জহিরুলকে ৯ (১) ধারায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানার ঈদগাহ কাঁচাবাজার এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকুরিপ্রার্থী এক নারীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নেয় আসামিরা। গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে দুধের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে প্রথমে রফিকুল এবং পরে জহিরুল ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে ২৮ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের পর ট্রাইব্যুনালে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ও ৯ (১) ধারায় রফিকুলকে দুইবার যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই আইনের ৯ (১) ধারা অনুযায়ী জহিরুলকে যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তাকে তিন মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার