অর্থনীতি, শিক্ষা ও চাকরি, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা- এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে অনন্য অবদান রাখায় পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার নগরের ষোলশহরের এলজিইডি ভবনের কনফারেন্স হলে এ সম্মাননা তুলে দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৫ জয়িতার মধ্য থেকে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সফলতার জন্য কুমিল্লার মুরাদনগরের পারুল আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফলতায় লক্ষ্মীপুরের বাঞ্চা নগরের আইরিন সুলতানা, সফল জননী নারী হিসেবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির রাজিয়া মাসুদ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী হিসেবে বান্দরবানের রুমা এলাকার তোয়াব নেম বম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য চাঁদপুরের উত্তর মতলবের পারভিন শরীফকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা থেকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মোট ৫৫ জন জয়িতার মধ্য থেকে বিভাগীয় বিচারক মন্ডলীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে নির্বাচিত করা হয়।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, প্রতিবছর ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা জয়িতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে পাঁচটি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত করে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার