চট্টগ্রামে রেলওয়েতে একটি সমিতির সভাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সমর্থিত ও বির্তকিত রেল কর্মচারি সুমনের (বরখাস্তকৃত) নেতৃত্বে আসা বহিরাগতদের সাথে মারামারির ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিক লীগ অফিস বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। উভয়ের উত্তেজনা ও মারামারির সময় ছুরিকাঘাতে রেল কর্মচারি মহসিন, খোকন, সোহেল, সুমনসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে উক্ত এলাকাসহ পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পূর্বাঞ্চলে সিআরবির হেড কোর্য়াটারে অবস্থিত রেলওয়ে ঋনদান সমিতির আগামী নির্বাচন উপলক্ষে আজ রবিবার দুপুরে একটি জরুরি সভা চলছিল। এ সময় একজন রেলের উর্ধতন কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়া ও নানাবিধ ঘটনায় সম্প্রতি বরখাস্তকৃত রেল কর্মচারি সুমনের নেতৃত্বে তারঁ ভাই জামায়াত নেতা রেল কর্মচারি আবুল বশরসহ বহিরাগত কিছু লোকজনর নিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়ে। এসময় সমিতির দায়িত্বশীলরা বাধা দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় শ্রমিকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সর্মথিত ও সুমনসহ লোকজনদের মধ্যে চরম হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সিরাজ সমর্থিত মহসিনকে ছুরিকাঘাত করে সুমনের লোকজন। এসময় শ্রমিকলীগ অফিসে ভাঙচুর করে জামায়াতি নেতাসহ বহিরাগতরা। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। মহসিন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসায় রয়েছে।
রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে সরকার বিরোধী অপতৎপরতা বন্ধের দাবি ও রেলে নাশকতার নেপথ্যে জড়িত জামায়াত-বিএনপির নেতাদের চিহ্নিত করার দাবিতে মিছিল করেছি। এরপর ঋণদান সমিতির সভা চলছিল। মিছিলের সূত্রে ধরেই শ্রমিকলীগ অফিসে ভাঙচুর করেছে রেলের কর্মচারি জামায়াত নেতা বশর, সুমনসহ অনেকেই।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পুলিশের পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন ধরণের অস্বাভাবিক ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে কেউ এখনও মামলা করতে আসেনি। আসলে মামলা গ্রহণ করব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারি বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে কোন সময় অফিস করতে পারিনা। এসব কারণে প্রতিনিয়ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়। চিহ্নিত কিছু লোকের কারণে রেলকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও করছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার