রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কয়লার ডিপু এলাকার বাসিন্দা সোহাগী। করেন বিভিন্ন বাসায় গৃহস্থালির কাজ। থাকেন জরাজীর্ণ একটি ঘরে। ঘরটির দৃশ্য অনেকটা কবিতার ‘আসমানী’র মত- বৃষ্টি আসলেই পানি পড়ে। আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। সোহাগীর পিতাও কর্মক্ষমহীন। ষাটোর্ধ্ব দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে হাঁফানি রোগে আক্রান্ত। চার ছেলেমেয়ের সংসারে অভাব নিত্য সঙ্গী। এমন অভাবী এক পরিবারকে বাঁচার মত একটু ঠাঁই করে দেওয়া হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে সোহাগীর পরিবারের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ঘর। মাথা গুজার এতটুকু ঠাঁই হয় তাদের। মঙ্গলবার টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন ঘর।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বিভিন্নভাবে জানতে পেরে আমি গিয়ে দেখি ঘরের দুইটা রুমের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। রান্নাঘরে নেই বেড়া, ছাদের টিনে ছিদ্র। এমন অবস্থায় বসবাস করা আসলেই কষ্টের। তাদের পরিবারের অসহায়ত্ব দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই বান টিন এবং কাঠসহ ছয় হাজার টাকার মালামাল কিনে সোহাগীদের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালেই তারা নতুন ঘরে উঠেছে। ঘর পেয়ে তারা খুশি। সঙ্গে একটি পরিবারকে মাথা গুজার ঠাঁই করে দিতে পারায় আমরাও আনন্দিত।’
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জুলাই, ২০১৮/মাহবুব