কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে ১০টি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সাম্পান মাঝিদের বৈঠা বর্জন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজেদের সাম্পান ঘাটে রেখে শত শত মাঝি এ মানববন্ধন ও বৈঠা বর্জন সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কর্ণফুলী তীরের সদরঘাটে এ মানববন্ধন ও বৈঠা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ণফুলী তীরের ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে। একই সঙ্গে কর্ণফুলীর সকল ঘাট অচল করে দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বৈঠা বর্জন সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতি, চরপাথরঘাটা ব্রীজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতি, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, কর্ণফুলী নদী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার কল্যাণ সমিতি, সদরঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও সদরঘাট লেবার কল্যাণ সমিতি।
মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, কর্ণফুলী গবেষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা জিন্নাত আলী লেদু, আবুল কালাম, সহ-সভাপতি জাগির আহম্মদ, সহ-সম্পাদক আবদুল মালেক।
এছাড়াও চরপাথরঘাটা ব্রীজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাফর আহমেদ, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুর রহমান, কর্ণফুলী নদী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলী নূর, সদরঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ জুয়েল, সদরঘাট লেবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল জব্বার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি রপ্তানি যে নদী দিয়ে সম্পন্ন হয় সেই নদী রক্ষায় এতো নাটকীয়তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান শেষে কি কারণে জেলা প্রশাসন নিরব হয়ে গেল তা জনগণ জানতে চায়। জনগণকে অন্ধকারে রেখে অতীতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এখনো তা হতে দেয়া যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন